জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা:

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহবুব আলমের অপসারণের দাবীতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে ৪টা ১৫ মিনিটি থেকে ৫টা ৪৫ মিনিটি পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেছে লোহাগাড়া উপজেলার সচেতন জনসাধারণের ব্যানারে উৎসুক জনতা। এ দীর্ঘ যানজটে দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বাসের যাত্রীসহ সাধারণ পথচারীদের। প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক যানজট সৃষ্টি হয়।

লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মমহাসড়কের উপরে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। এতে উভয় পাশের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। উভয়পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার মহাসড়কে বাস আটকে যায়। দেড় ঘন্টা ব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকায় বাসের যাত্রীরা হেঁটে চলাচল করছ্।ে

দীর্ঘ দেড় ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় লোহাগাড়া থানা পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। যানজট নিরসনের জন্য মহাসড়কে বিক্ষোভ কারীদের অবস্থান। এ যানযট দেখে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নুরুল আবসার চৌধুরী গাড়ীর ড্রাইভারদেরকে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেন। গাড়ি চলাচল করলে বিক্ষোভকারীরা  বাঁধা দেন। সেখানেই সংঘর্ষ হওয়ার আশংখা দেখা দিলে নুরুল আবসার চৌধুরীকে পুলিশ স্থান ত্যাগ করতে বলেন। পরক্ষনেই ওই স্থানে চলে আসেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হীরু। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করতে তিনিও ব্যর্থ হন। পরস্থিতি আরো খারাপের দিকে। বিক্ষোভকারীরা তেড়ে আসতে শুরু করছে গাড়ি চলাচল করতে যারা সুপারিশ করছে তাদের দিকে। পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রন করেছে। লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগও সংঘবদ্ধ হয়ে দরবেশ হাট রাস্তার মাথা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নেন। উভয়ের অবস্থান দেখে পুলিশ উভয়কে নিয়ন্ত্রন করতে চেষ্টা চালিয়ে যান। দেড়ঘন্টা পর পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারেন। সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন শ্লোগান ধরেন। তারা বলেন, জামায়াত শিবিরের দোসর ইউএনও’র অপসারণ চাই, দিতে হবে। এছাড়া আরো অকথ্য ভাষায় শ্লোগান ধরেন। বিক্ষোভকারীদেও মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচএম গণি সম্যাট বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহবুব আলমের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি আমাদের দাবী মেনে না নেওয়ায় আমরা আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। তিনি আরো বলেন, দাবী পূরণ না হলে এ আন্দোলন আরো বেগবান হবে।

গত ১৯ এপ্রিল লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহবুব আলমের বদলীর আদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রনাালয় বাতিল করলে লোহাগাড়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও র্সবস্থরের জনসাধারণের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগ তাদের নাম ব্যবহার করায় গত ২০ এপ্রিল সভাপতি ও সম্পাদক সাংবাদিক সম্মেলন করেন । এর পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। তারা লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারনের দাবী জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুচ্ছফা চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইফুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য এস.এম আব্দুল জব্বার, নির্বাহী সদস্য ও পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন, চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জনু কোম্পানী, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক জহির উদ্দিন, যুগ্ম-আহবায়ক ফজলে এলাহী আরজু, উপজেলা যুবলীগ নেতা বাদশা খালেদ, যুবলীগ নেতা আক্তার কামাল পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মিজানুর রহমান ও যুগ্ম-আহবায়ক মোরশেদুল আলম নিবিলসহ শতশত জনতা।